রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার উপজেলার চর রাঘবরায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদগঞ্জ থানায় ছুটে যান।
জানাগেছে, চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর গায়ের ওড়না নিয়ে টানাটানি করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন। সেই ঘটনার জের ধরে ওই ছাত্রীর অভিভাবক ও স্বজনরা বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর করে একটি কক্ষে আটকে রাখেন।
তা নিয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ও এলাকাবাসী পক্ষ বিপক্ষে জড়িয়ে পড়ে। ফলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুনির উজ্জামান ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রাজিব দাস ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে তারা শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
ঘটনার শিকার ছাত্রীর অভিভাবক জানান, নানা অজুহাতে শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন প্রায়ই মেয়েটির গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করত। তবে ঘটনা অস্বীকার করে শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন বলেন, দুপুরে জহুরের নামাজের আজান হলে আমি ওই ছাত্রীকে মাথায় ওড়না দিতে বলেছি।
কিন্তু সে আমার কথা না শোনায় আমি নিজের হাতে ওড়না তার মাথায় তুলে দেই। অথচ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল রহমান ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন খান বলেন, বিষয়টি আমাদের জানানো হলেও দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলার আগেই শিক্ষককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় ঘটনাস্থল ফরিদগঞ্জ থেকে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক এবং ছাত্রী ও তার অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে বিষয়টি নিয়ে হয়তো অন্য কোনো পক্ষ ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করছে।
সে কারণে সতর্কতার সঙ্গে উভয়পক্ষকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন যদি অভিযুক্ত প্রমাণিত হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।